প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দেশের জুয়েলারিশিল্পে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বেশি হওয়ায় দেশের গয়না ক্রয়ে ভোক্তাদের আগ্রহ কম। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে বাইরে। এর ফলে সরকারও বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জুয়েলারিশিল্প রক্ষায় ও রাজস্ব আয় বাড়াতে অলংকার বিক্রিতে ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভায় সংগঠনটির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতি ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
আনোয়ার হোসেনে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ভ্যাট বেশি হওয়ায় দেশের সামাজিক বড় অনুষ্ঠানের অলংকার দেশের বাইরে থেকে ক্রয় করেন বেশির ভাগ ভোক্তা। এর ফলে একদিকে বাইর থেকে মানহীন অলংকার এনে ক্রেতারা ঠকছেন। একই সঙ্গে বিপুল বিদেশি মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। ’ তিনি বলেন, ‘ভারতে ভ্যাট দিতে হয় ৩ শতাংশ, আর বাংলাদেশে ৫ শতাংশ। এর ফলে দেশের স্বর্ণশিল্পের উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছেন। ’ ক্রেতাদের ঘরমুখী করা গেলে জুয়েলারি খাতে সরকারের রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হবে বলে তিনি জানান।