করোনাবিধ্বস্ত বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত প্রতিটি দেশ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এক অভূতপূর্ব কৌশলী কর্মসূচি ও কর্মপদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাজুস প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশনায় বাংলাদেশের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭-১৯ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ১, ২ ও ৩ নম্বর হলে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২-এ দেশ-বিদেশের অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা শতাধিক স্টলে অংশ নেবেন।
এক্সপো আয়োজনের বিষয়টি অবগত করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণশিল্প এ ধরনের এক্সপো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-৪১ সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত একটি উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। আর এ ক্ষেত্রে দেশের সম্ভাবনাময় জুয়েলারি শিল্পকে আমরা পাশে পেতে চাই।’
এ ধরনের এক্সপো আয়োজনের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই এক্সপো দেশীয় অলংকার শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশকে স্বর্ণ এবং স্বর্ণজাত শিল্প রফতানির ক্ষেত্রে একটি শক্ত অবস্থানে নিতে অবদান রাখবে, যা আমাদের জিডিপির হারকে সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হবে।’
তিন দিনের এই এক্সপোতে দুই লাখেরও বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে দেশের ১৮ কোটি মানুষ অবগত হবে। এক্সপোতে মোট ৭০টিরও বেশি স্টল থাকবে।
এ দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটাতে বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো ২০২২-এ দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।