Office: +8802-41031722
Hotline: +8801332539801
চুরি-ডাকাতির শঙ্কা, জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস
Back to All News

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে চুরি-ডাকাতি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে সংগঠনটির স্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের চলমান অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে কাজ করছে বাজুস। এই লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হত্যা, হত্যা চেষ্টা ও অপহরণ চেষ্টা আমাদের জান-মালের নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এমনকি বাসা বাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও তার পরিবাররের সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছেন না। এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যা চেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাজুস। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের আরো অধিকতর সহযোগিতা চায় সংগঠনটি।

পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জুয়েলারি শিল্প ঘিরে সংঘটিত অপরাধ দমনে বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।

জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ ভোর ৫টায় বাজুসের সহ-সভাপতি ও দেশের স্বনামধন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অলংকার নিকেতনের কর্ণধার এম এ হান্নান আজাদের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় ও ছদ্মবেশী ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হামলা চালায়। এ সময় তার বাসা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি এম এ হান্নান আজাদকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের ওপর ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়। 

বাজুস জানায়,  গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১১টি, সাভারের আশুলিয়ায় ১টি, মুন্সিগঞ্জে ১টি, খুলনায় ৪টি, কুমিল্লায় ১টি, পটুয়াখালীতে ২টি, ময়মনসিংহে ১টি, সিলেটে ১টি ও হবিগঞ্জে ১টি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়। সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতির সময় ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হন এবং বনশ্রীতে সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। গত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। 

বাজুস নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সব জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানান তারা। এছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়। 

অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানিয়ে সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে বাজুস। এর মধ্যে রয়েছে- নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিশ্চিত করা, মার্কেটে অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিকরা মার্কেট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ উদ্যোগে পালাক্রমে পাহারা নিশ্চিত করা, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে পুলিশ প্রশাসন ও বাজুসকে অবহিত করা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহ-সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন ও সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপুসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।


Related News

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

Read More
স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

Read More
Sayem Sobhan Anvir elected BAJUS president

Sayem Sobhan Anvir elected BAJUS president

Read More
BAJUS central committee President Anvir congratulates as Ctg unit leaders take oath

BAJUS central committee President Anvir congratulates as Ctg unit leaders take oath

Read More
  • ২২ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ১৩৫৩৫/-
  • ২১ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ১২৯২০/-
  • ১৮ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ১১০৭৪/-
  • ২২ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ২২১/-
  • ২১ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ২১০/-
  • ১৮ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১৮১/-
  • সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ৯১৩৪/-
  • সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১৩৬/-