জুয়েলারি শিল্প বিকাশে সোনা চোরাচালান বড় বাধা বলে মনে করেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন- জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে প্রধান বাধা চোরাচালান ও বাড়তি শুল্ক। চোরাচালান রোধ, বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার এবং জুয়েলারি শিল্প সহায়ক নীতি সহায়তা পেলে এই শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।
আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন। এতে বক্তব্য দেন বাজুস মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: দিলীপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি-গুলজার আহমেদ, মো: রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি ও প্রদর্শনীর সমন্বয়ক সমিত ঘোষ অপু।
গত বৃহস্প্রতিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী প্রর্দশনী আজ শেষ হয়। এতে ৫ হাজারের অধিক ব্যবসায়ী-দর্শনার্থী পরিদর্শন করেন। এবারের প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’। দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং রপ্তানিমুখি খাত হিসেবে গড়ে তোলা বাজুসের মূল লক্ষ্য। এতে অংশ নিয়েছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাজুস মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: দিলীপ কুমার রায় বলেন, জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে প্রধান বাধা চোরাচালান ও বাড়তি শুল্ক। চোরাচালান রোধ, বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার এবং জুয়েলারি শিল্প সহায়ক নীতি সহায়তা পেলে এই শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের জুয়েলারি শিল্পে যে অমিত সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে তাতে অনুমান করা যায়, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জুয়েলারি শিল্পও তৈরি পোশাক শিল্পের মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা মিটিয়ে জুয়েলারি শিল্প একদিন বিশ্ববাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।