Hotline: +8809612120202
‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ প্রতিপাদ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু বাজুস ফেয়ার
Back to All News

দেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাজুস ফেয়ার-২০২৪ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।  রাজধানীর ৩০০ ফিটে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ৩দিনব্যাপী এই ফেয়ার চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাজুস ফেয়ার এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান উত্তম বনিক।

এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাজুসের মুখপাত্র ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায়। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে 'বাজুস ফেয়ার-২০২৪'। ফেয়ারের এবারের প্রতিপাদ্য  'সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়'।

বাজুস ফেয়ারের শিরোনাম 'সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়' দেওয়ার কারণ হিসেবে বাজুসের মুখপাত্র ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য আছেন যারা ৬-৮ হাজার টাকা সোনা কিনেছিলেন, এখন তার মূল্য লাখ টাকা হয়ে গেছে।

সোনা ছাড়া যে কোনো পণ্যই আপনি কেনেন তার রিটেল ভ্যালু এতো থাকে না। 

 

তিনি বলেন, আজকে আপনি একটা টেলিভিশন, ফ্রিজ কিনলে পরের দিন বিক্রি করতে গেলে মূল্য অর্ধেক হয়ে যাবে। কিন্তু সোনা এমন জিনিস যেটা মানুষ সঞ্চয় হিসেবে নিয়েছে। গরিব, ধনী, মধ্যবিত্ত সবাই এটা কেনে।

ধনী দেশগুলো আজকে সোনাকে রিজার্ভ হিসেবে নিয়েছে। এ জন্য আমাদের প্রতিপাদ্য সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়। এবার বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকেট লাগবে না। এছাড়াও জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উত্তম বনিক বলেন, 'বাজুস ফেয়ার-২০২৪' এ সকল ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি- বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে দেশের ১৮ কোটি মানুষ অবগত হবে। বাজুস ফেয়ার-২০২৪ দেশিয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বাজুস আশা করছে। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে।

তিনি বলেন, সামিটে ১০টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও আগে ঘোষিত বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে 'বাজুস ফেয়ার- ২০২৪' এ অংশগ্রহণকারি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। এ সব অনুষ্ঠানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের সদস্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেল, শোবিজ তারকাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সেলিব্রেটিরা বাজুস ফেয়ারে অংশ নিবেন বলে আমরা আশা করছি।

এবার বাজুস ফেয়ারে ৯ টি প্যাভিলিয়ন, ১৭ টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।

বাজুস ফেয়ার-২০২৪ এ প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠান হলো- ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, অলংকার নিকেতন (প্রাঃ) লিমিটেড, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লিঃ, আপন জুয়েলার্স, জড়োয়া হাউজ (প্রাঃ) লিমিটেড ও রিজভী জুয়েলার্স।

মিনি প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো- ডায়মন্ড বাজার এন্ড গোল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, আলভী জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, চৌধুরী গোল্ড, রিয়া জুয়েলার্স, আফতাব জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, রয়েল ডায়মন্ড, দি ডায়মন্ড স্টোর, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজ জুয়েলার্স লিমিটেড, জারা গোল্ড, জায়া গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড, সাস ইন্টারন্যাশনাল, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স ও ডি ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারী।

স্টলে অংশ নেওয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠান হলো: গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, দি আই. কে জুয়েলার্স, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, আয়াত ডায়মন্ডস, সিরাজ জুয়েলার্স, পাপড়ি জুয়েলার্স, ডায়মন্ড প্যালেস, ডায়মন্ড স্কয়ার, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, রাজঐশ্বরী, ডি গোল্ড প্যাশন, বাংলাদেশ সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানী, জেমস গ্যালারী এন্ড ডায়মন্ড, খোকন জুয়েলার্স ও আরএন মাইক্রোটেক।

ফেয়ারে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, নিরাপত্তার জন্য এর থেকে বেশি স্টল দেওয়া সম্ভব নয়। আর উন্মুক্ত স্থানে এ মেলা আয়োজন করা সম্ভব না। জায়গা ছোট হলেও আমাদের দেশে উৎপাদিত সকল জুয়েলারি পণ্য উপস্থাপন করতে পারব। যাদের প্রতিষ্ঠান বড় এবং বিশ্বব্যাপি সুনাম আছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাজুসের মুখপাত্র ও সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান, বাজুসের মুখপাত্র ও সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, বাজুসের মুখপাত্র, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের কোষাধ্যক্ষ ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফেয়ার এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান উত্তম বণিক, ভাইস চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র দে, সদস্য মো. লিটন হাওলাদার, সদস্য মো. মনির হোসেন, সদস্য মো. আজাদ হোসেনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।


Related News

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

Read More
Jewellery Industry needs unity: BAJUS President Sayem Sobhan Anvir

Jewellery Industry needs unity: BAJUS President Sayem Sobhan Anvir

Read More
স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

Read More
Anvir new BAJUS President

Anvir new BAJUS President

Read More
  • ২২ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ৯৬৫৫/-
  • ২১ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ৯২১৬/-
  • ১৮ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ৭৯০০/-
  • ২২ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১৮০/-
  • ২১ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১৭২/-
  • ১৮ ক্যা: ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১৪৭/-
  • সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য : ৬৫৭০/-
  • সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য : ১১০/-