উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশ (বাজুস) সিলেট জেলা শাখার প্রথম নির্বাচন। এই প্রথমবারের মতো সিলেটে প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব পেলেন জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- কমলা ভান্ডার জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেডের নির্মল কুমার রায় (১৫৭ ভোট), রহমান জুয়েলার্সের আব্দুল কাদির মল্লিক (১৪৭ ভোট), আশা জুয়েলার্সের আলতা মিয়া (১৪৭ ভোট), নিউ পরমেশ্বও জুয়েলার্সের প্রবীর সিংহ (১৩৭ ভোট), নিউ ভেনাস জুয়েলার্স-২ এর গোবিন্দ রায় (১৩৪ ভোট), স্বর্ণা জুয়েলার্স এন্ড স্টোরের রতন দে (১৩৩ ভোট), নিউ ইসলাম জুয়েলার্সের ইয়াছিন আহমদ (১৩১ ভোট), সিলেট হীরা জয়েলার্সের লক্ষণ ঘোষ (১৩১ ভোট), ইসহাক জুয়েলার্সের মো. মাহবুবুর রহমান সওদাগর (১২৫ ভোট), আক্তার জুয়েলার্সের কাজি মো. আক্তার হোসেন (১২৪ ভোট), পরমা জুয়েলার্সের বরুণ কুমার বণিক (১২৪ ভোট), দি নিউ ভৌমিক জুয়েলার্সের রাজিব ভৌমিক (১২৩ ভোট), খান জুয়েলার্সের হাজি মো. আয়াতুল ইসলাম খাঁন (১২৩ ভোট), নিউ ঝুমা জুয়েলার্সের প্রদীপ কর্মকার (১১৮ ভোট), অলংকার নিকেতন জুয়েলার্সের হাজি বাবুল আহমদ (১০৪ ভোট), ঝলক জুয়েলার্সের গৌরাঙ্গ বণিক (১০২ ভোট), সিলেট ডলি জুয়েলার্সের মো. আব্দুল হান্নান (১০২ ভোট), আল আরাফাহ জুয়েলার্সের মো. জালাল আহমদ (১০২ ভোট) ও রুহুল আমিন জুয়েলার্সের মো. সেলিম আহমদ (১০২) ভোট।
সার্বক্ষনিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ঢাকা থেকে আসা বাজুসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গুলজার আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মো. রিপনুল হাসান, বাজুসের সচিব খালেদ আকন্দ, এজিএম (এডমিন) তানভীর আহমদ, বাজুস সিলেট জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি ও অন ডিষ্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য (সিলেট বিভাগীয় প্রধান) নীহার কুমার রায়। নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন হাজি মো. সুনু মিয়া, বোর্ডের দুই সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন শেখ মো. আলমগীর হোসেন ও আবুল হাসান নজু।
এর আগে, প্রথমবারের মতো ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ভিড় করতে শুরু করেন জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা। কেন্দ্রে আসার পর প্রার্থীরা ভোটারদের স্বাগত জানান। প্রার্থী ও ভোটারদের উপস্থিতিতে ধোপাদিঘীর পূর্বপাড়স্থ ইউনাইটেড সেন্টার কেন্দ্র ও আশপাশ এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।