ফেনীতে বাংলাদেশ জুয়েলারি এসোসিয়েশন (বাজুস) এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ফেনী জেলা কমিটি এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় বাজুস ফেনীর সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন বাবলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র দে, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপ কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য প্রণব সাহা প্রমুখ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাজুস ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক বাচ্চু এবং বাজুসের স্থানীয়, কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দসহ ফেনীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীবৃন্দ। সমাবেশে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলার বাজুস নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার প্রধান অতিথি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আমাদের বাজুস প্রেসিডেন্ট ও দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বলেই তিনি এ শিল্পের সাথে যুক্ত হয়েছেন। আগামী মার্চ মাসে মেড ইন লেখা স্বর্ণ বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করা হবে। এতে আমাদের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেয়ার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেছেন তৃণমূলকে টেনে নাও। সে কারণে সারা দেশে সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা হচ্ছে। আমাদের পুলিশ সব সময় হয়রানি করে। আপনারা স্বর্ণ বহনকরার সময় এনআইডি কার্ড, বাজুসের কার্ড ও যেখান থেকে স্বর্ণ কিনবেন তার রশিদ রাখবেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাজুসের সদস্য যদি জেনে শুনে চোরাই স্বর্ণ কিনে থাকে তাহলে তার সাথে বাজুস নাই। যদি সঠিক পন্থায় কেনার পর কোন সমস্যা হয় তাহলে আমরা তার সাথে দাঁড়াব। ভ্যাট কর্তৃপক্ষ যদি হয়রানি করে তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবেন। আমরা এ ব্যাপারে অবস্থান নেব। মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কেউ মূল্য তালিকা মেনে স্বর্ণ বেচাকেনা না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন ও জরিমানা করবেন। ক্যাশ মেমোতে অবশ্যই কত ক্যারেট তা লিখতে হবে। সকলকে বাজুসের আওতায় আসতে হবে।
বাজুস উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ তৈরির কারখানা করেছেন। মার্চে আমাদের স্বর্ণ বাজারে আসছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এ শিল্পে বিপ্লব আনার জন্য এখানে এসেছেন। ৪০ লাখ পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পকে বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে দিতে চান। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বৃহত্তম গার্মেন্টস খাত। বাংলাদেশে জুয়েলারি খাতকে তার চেয়ে এগিয়ে নিতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এ খাত আগে অবহেলিত ছিল। কোন সরকার কখনও জুয়েলারি খাতকে নিয়ে চিন্তাও করেননি। তিনি জুয়েলারি শিল্পকে বিশ্ব বাজারে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। এতে বাংলাদেশে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। সারাদেশে বাজুস এগিয়ে গেলে সকল ব্যবসায়ী হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন। দেশে ছোট ছোট করাখানা তৈরি হবে। স্বাধীনতার মাসে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা স্বর্ণালঙ্কার দেখতে পাবে বিশ্ববাসী।