বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি ডা. আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেছেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর এর নেতৃত্বে দেশের বাজারে বাজুসের স্বর্ণ রাজত্ব করবে। তেমনি বিশ্ব বাজারেও বাংলাদেশের অলংকার উপস্থাপিত হবে। বাজুস যত শক্তিশালী হবে, তত আমরাও এগুতে পারবো।
তিনি বলেন, আশার কথা যে- প্রশাসনও জুয়েলারি মালিকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ এখন ব্যাপক সক্রিয়। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জুয়েলারি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের বেঙ্গল কনভেনশন সেন্টারে বাজুসের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি আমিনুল ইসলাম শাহীন ছাড়াও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ‘ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উত্তম ঘোষ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য নীহার কুমার রায়সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য মো. রিপনুল হাসান বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের একটাই মেসেজ আর তা হলো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বর্ণ ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই বাজুসের মেম্বার হতে হবে।
বিশেষ অতিথি নীহার কুমার রায় মৌলভীবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় গোল্ড টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করুন। এতে নিম্নমানের স্বর্ণ চিনতে এবং স্বর্ণ বিক্রি করা সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, কেউ নিম্নমানের স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবেন না। বাজুসের দেয়া রেটে কোয়ালিটি সম্পন্ন স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলেন, স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। সেদিকে কেন্দ্রীয় কমিটি যেন দৃষ্টি দেয়, সে আহ্বান জানাই।
বাজুস মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি পংকজ রায় মুন্নার সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ খান পলাশের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাজুসের বড়লেখা উপজেলার সভাপতি লুৎফুর রহমান, জুড়ি উপজেলার সভাপতি কামাল হোসেন, কুলাউড়া উপজেলার সভাপতি মিঠু দেবনাথ, রাজনগর উপজেলার সভাপতি কানাই দেব, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সভাপতি শংকর বণিক প্রমুখ।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং জেলা সদরসহ সাত উপজেলার নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন। মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় ৫০০ স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন।