স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি, চুরি-ডাকাতিসহ নানা বিপদ থেকে রক্ষাকবচের মতো কাজ করবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের চেয়ারম্যান এবং বাজুসের সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ ওয়াদুদ খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বাজুসের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু সমিতির উন্নয়নে তেমন কিছু করতে পারিনি।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বিপ্লব ঘটিয়ে সদস্যদের সম্মান বাড়িয়েছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। ’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর কনভেনশন সেন্টারে বাজুসের গাজীপুর জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাজুসের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক সমিত ঘোষ অপু।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাজুসের সহসম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম লাভলু, কার্যনির্বাহী সদস্য বাবলু দত্ত ও মো. আসলাম খান।
সভায় টঙ্গী বাজার জুয়েলার্স ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র দত্ত বলেন, আগে বৈধ স্বর্ণ কিনলেও অনেক সময় পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন ওই দুশ্চিন্তা আর নেই। এটা বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের অবদান।
গাজীপুর বাজুসের সাবেক সভাপতি মো. আজহার আলী বলেন, ‘এক বছর আগে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, আমরা এক ছাতার নিচে আসব। আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ। ’
গাজীপুর জেলা বাজুসের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজুল হোসেন সেলিম বলেন, ‘সারা দেশে বাজুসের সদস্য ছিল প্রায় সাত হাজার। বর্তমানে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। বাজুস প্রেসিডেন্ট সারা দেশের সব জুয়েলার্স ব্যবসায়ীকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা চাই সব জুয়েলার্স ব্যবসায়ী একসঙ্গে এক ছাতার নিচে আসুক। ’
অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন জয়দেবপুর বাজার জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ কর্মকার, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার দেলোয়ার সরকার, কালিয়াকৈর বাজার এলাকার জিতেশ কর্মকার, কাপাসিয়া উপজেলার চন্দন রক্ষিত, শ্রীপুর উপজেলার স্বপন বণিক, কালীগঞ্জ উপজেলার সন্তোষ কর্মকার, ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার অটল চন্দ্র শিকদার ও কোনাবাড়ী এলাকার জুয়েলার্স ব্যবসায়ী চন্দন দাস।
এ সময় বক্তারা সারা দেশে সব জুয়েলার্স ব্যবসায়ীকে এক ছাতার নিচে আসার আহ্বান জানান।
গাজীপুর শাখা বাজুসের আয়োজিত মতবিনিময়সভায় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় শতাধিক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সভাপতির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।