রাজধানীর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্সে দুটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপিকে পত্র দিয়েছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। পত্রে তিনি বলেছেন, জুয়েলারি দোকানের স্বর্ণালঙ্কার, ডায়মন্ড, রিয়েল স্টোন ও নগদ টাকা চুরি হওয়ায় দেশের সাধারণ জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল এ পত্র দেওয়া হয়। পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি কমিশনার ও ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে। ওই পত্রে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর উল্লেখ করেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুস জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন হিসেবে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং দেশি স্বর্ণশিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। আইজিপির প্রশংসা করে ওই পত্রে বাজুস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং আপনার কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ পুলিশ এখন অনেক দক্ষ ও জনবান্ধব। এজন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পত্রে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর আইজিপিকে অবহিত করে বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ১০ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্সে মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট অ্যান্ড বেস্ট গোল্ড ক্রিয়েশন জুয়েল এভিনিউ প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরির এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান দুটি বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সদস্য। তা ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ জুয়েলার্সদের মধ্যে শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর পুলিশপ্রধানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন, মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট অ্যান্ড বেস্ট গোল্ড ক্রিয়েশন জুয়েল এভিনিউ প্রতিষ্ঠান দুটিতে সংঘটিত চুরির ঘটনাটি দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার, ডায়মন্ড, রিয়েল স্টোন ও নগদ টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি মার্কেটের চতুর্থ তলার ‘মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট অ্যান্ড বেস্ট গোল্ড ক্রিয়েশন জুয়েল এভিনিউ নামের দুটি সোনা ও হীরার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায় দুই সদস্যের চোরদল। ভুক্তভোগীরা বলছেন প্রায় ৭ কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার এবং নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে গেছে চোরেরা। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী ভবনের নিরাপত্তা প্রহরীদের ধাওয়ায় ২০ ভরি সোনার অলঙ্কারের একটি ছোট ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। এর আগে ২০০৪ সালে একই মার্কেটের তৎকালীন মহানগর জুয়েলার্স এবং সুলতানা জুয়েলার্সেও ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।