বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় একসঙ্গে কাজ এগিয়ে নিতে ভাতৃত্বের এই বন্ধন আরো জোরদার করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতায় আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। ’
ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা আমাদের দেশে আসেন, আমরাও আপনাদের দেশে আসব।
ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রেখে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে মিলে রপ্তানি করব। বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই যে দক্ষিণ এশিয়ার যত জুয়েলারি মেনুফ্যাকচারিং আছে তাদের মধ্যে আমরা সবচেয়ে উন্নত ও ভিন্ন। ’
সম্প্রতি ভারতের গোয়ার পাঁচতারা হোটেল দ্য লীলায় ‘সোনার বাংলা’ শিরোনামে আয়োজিত জুয়েলারি এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন সায়েম সোবহান আনভীর। ভারতীয় সংস্থা কেএনসি সার্ভিসেস আয়োজিত জুয়েলারি এক্সপোতে অংশ নেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বক্তব্যের শুরুতে সায়েম সোবহান আনভীর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আমি অত্যন্ত রোমাঞ্চ বোধ করছি এবং আপনারা আমাকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন তাতে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা মোটেও সময় নষ্ট করিনি। সময় পেরিয়ে যায়নি। আমরা পরিকল্পনা করেছি, আমরা থেমে থাকিনি। আমরা একটি ধাপ অতিক্রম করেছি। এখন সময় এসেছে পরবর্তী ধাপে পৌঁছনোর। আমরা এখনই শুরু করতে চাই। ’ তিনি বলেন, ‘এক হাতে কিন্তু তালি বাজে না, তালি বাজাতে দুটি হাতেরই প্রয়োজন হয়। তাই আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে চাই। ’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ বাজুসের সদস্য নয় এমন কারো সঙ্গে কোনো ধরনের যৌথ ব্যবসা না করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সায়েম সোবহান আনভীর। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এতে ব্যাবসায়িক সুনাম নষ্ট হবে। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের ব্যবসার এই ক্ষেত্রটিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। আপনি যেনতেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতে গেলে আমাদের বাজার খারাপ হবে। এমনকি আমাদের দুই দেশের সুনামও নষ্ট করবে তারা। দয়া করে সবার সঙ্গে যৌথ ব্যবসা করতে যাবেন না। আমরা এখানেও আপনাদের সঙ্গে কাজ করব, আপনারাও করুন। ’
ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাজুস সভাপতি আরো বলেন, ’আপনাদের গয়নার নকশা অনেক দৃষ্টিনন্দন, আমাদের শ্রমিকরাও অনেক দক্ষ। তাহলে দুই দেশ একসঙ্গেই ব্যবসা করি। আমার বিশ্বাস, আমরা একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের কেউ দমাতে পারবে না। একদিন এই শিল্প অনেক দূর যাবে। আমরা পৃথিবীতে সবার থেকে এগিয়েই থাকব। সুতরাং আমাদের সাহায্য করুন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরাও আপনাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সাহায্য করব। যেভাবে সম্ভব আমি প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের সাহায্য করতে চাই। আমার পক্ষ থেকে, আমার দেশের পক্ষ থেকে আমি এগিয়ে আসব। ’