সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণ কারখানায়
বাংলাদেশে গোল্ড ব্যাংক হবে। একই সাথে হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণ কারখানা।
গোল্ড ব্যাংকের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।তিনিই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্বর্ণ কারখানা বা ইন্ডাস্ট্রি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার দুপুরে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বাজুসের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর যশোর জেলা শাখার সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় প্রধান রকিবুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুসের ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, বাজুসের ল’ অ্যান্ড মেম্বরশীপ ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও মনিটরিং অব ডিস্ট্রিক্ট অরগানাইজেশনের মেম্বার সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন খোকন।
সভার প্রধান অতিথি ডা. দিলীপ কুমার বলেন, সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাজুসের পতাকাতলে আনাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বাজুসের নতুন কমিটি নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ ‘বসুন্ধরা’র এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাজুসের পতাকাতলে আনতে প্রথম পর্যায়ে সব বিভাগে প্রতিনিধি সভা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিলেট, রংপুর ও রাজশাহীতে এই প্রতিনিধি সভা হয়েছে।’
বুধবার যশোরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভাটিও এরই অংশ হলো।’
এতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও প্রত্যেকটি উপজেলার বাজুস নেতৃবৃন্দ এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. দিলীপ কুমার বলেন, ‘আমাদের বাজুসের নতুন প্রেসিডেন্ট নতুন স্বপ্নের আলো দেখাচ্ছেন। এই স্বপ্ন সফল হলে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বর্ণ শিল্পের উন্নয়নে স্বর্ণ নীতিমালা দিয়েছেন। এই নীতিমালা যাতে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেইজন্য এই ফ্যাক্টরি করা। আমরা আর পরনির্ভর থাকবো না। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এতোদিন বিদেশ থেকে স্বর্ণ ও অলঙ্কার এনে বিক্রি করতো। এখন থেকে আমরা স্বর্ণবার ও অলঙ্কার তৈরি আমরা আমাদের দেশের চাহিদা যেমন মেটাতে পারবো, তেমনি এগুলো রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবো’।
ডা. দিলীপ কুমার রায় আরো বলেন, বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আর সেই লক্ষে তিনি সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণ কারখানা গড়ে তুলতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন থেকে আমরা পিওর স্বর্ণ উৎপাদন করতে যাচ্ছি। আগে যেটা আমরা সুইস বার দেখতাম, যেখানে লেখা থাকতো ‘মেইড ইন সুইজারল্যান্ড’, এখন থেকে স্বর্ণবারে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি আমাদের বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরামর্শে জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ভাগ্যের উন্নয়নে আমরা একটি গোল্ড ব্যাংক তৈরি করতে যাচ্ছি। যে ব্যাংকের মধ্য দিয়ে দেশের ছোট, মাঝারি ও বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য আর্থিক ঋণ দেয়া হবে।’
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘সারাদেশে সংগঠনকে শক্তিশালী করে বাজুসের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের স্বর্ণের ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। আমাদের ভাল শিল্পী ও কারিগর ছিল, তাদের গর্ব করার মতো নৈপুণ্য ছিল। কাজ দিতে পারিনি বলে তারা অন্য দেশে গিয়ে এই কাজ করছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর ঘোষণা করেছেন, আমরা শুধু কাঁচামাল অর্থাৎ স্বর্ণবারই উৎপাদন করেই থেমে থাকবো না। এই স্বর্ণবার দিয়ে যাতে সারাদেশে অলঙ্কার তৈরি করা যায় সেজন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্বর্ণ কারখানা বা ইন্ডাস্ট্রি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর’।