স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গতকাল এক অনুষ্ঠানে স্বর্ণ চোরাচালান বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বর্ণ আমদানির বিষয়ে আমরা গত দুই বছরে নানাভাবে নীতিসহায়তা দেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে স্বর্ণ আমদানি হয়; স্মাগলিং যেন বন্ধ হয়। আমি জানি না, তার পরও কেন স্বর্ণ আমদানিতে তেমন সাড়া দেখা যাচ্ছে না, স্মাগলিংয়েও তেমন ভাটা পড়েনি। এখনো স্বর্ণের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। গোল্ড স্মাগলিং ঠেকানো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ইএফডি লটারির ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটার সঙ্গে (চোরাচালান) এ শিল্পের দেশীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা হয়তো জড়িত নন। স্মাগলিংয়ের সঙ্গে শুধু স্বর্ণ ব্যবসা নয়, নানাবিধ কারণ আছে। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে অনেক অবৈধ ব্যবসায়ী জড়িত।
তিনি বলেন, অবৈধ নানা কাজে জড়িতদের পেমেন্টের মাধ্যম গোল্ড হয়। সেই কারণে গোল্ড স্মাগলিং শুধু রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য, হয়তো তা নয়। গোল্ড স্মাগলিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যাবে কিনা জানি না। নানাভাবে স্মাগলিং হচ্ছে এটা বাস্তব বিষয়। তবে রাজস্ব ভারের কারণে স্মাগলিংয়ের প্রবণতা হচ্ছে কিনা সেটাকে আমরা দেখার চেষ্টা করছি।আগামী বাজেটে স্বর্ণ আমদানি সহজ করতে আরো কিছু করা যায় কিনা, সে বিষয়ে সরকার চিন্তা করবে।
অনুষ্ঠানে ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহের সময় পণ্যের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্যাট নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পণ্যের মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট দেয়া থাকবে। ক্রেতা পণ্য কেনার পর আলাদা করে ভ্যাট নেয়া যাবে না।