বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)-এর মত বিনিময়সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভিরের স্বপ্ন সঠিক পথে স্বর্ণ ব্যবসা করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশের কোষাগার ডলারে ভরে দিতে চান। আমরা এক্সপোর্ট করে ডলার দিয়ে দেশ ভরে দিতে চাই। যাতে দেশে ডলার সংকট না থাকে। তারা আরো বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা সরকারকে কেবল দিতে চায়, কিছু নিতে চায় না। আমরাও তাদের মতো সরকারি কোষাগার একদিন ডলারে ভরে দেবে। তবে আমাদেরকে ব্যবসার মান ঠিক রেখে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে হবে। তাহলে সরকারও আমাদের দাবি মেনে নেবে।
শুক্রবার দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি হাসনরাজা মিলনায়তনে এই মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মন্তোষ রায়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল এন্ড মেম্বারশীপ ও সহ-স¤পাদক মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, জয়দেব সাহা, সদস্য নীহার কুমার রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ স¤পাদক বিমল বণিক, ব্যবসায়ী শংকর বণিক, কাজল দে, লিটন বণিক, ব্রজ গোপাল বণিক, শুভ বণিক, নিখিল চন্দ্র বণিক, বিকাশ বণিক, নির্মল বণিক, সজল দে, প্রদীপ বণিক, রামকৃষ্ণ বণিক, দিলীপ বণিক, বাবুল বণিক, হাকিম রায়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন জেলা শাখার সাধারণ স¤পাদক চন্দন কর্মকার।
বাজুসের নেতারা আরো বলেন, ক্যারেট ও মান নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করব। আমরা সরকারি আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করলে আমাদের সব বিপদে প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভির সংগঠন নিয়ে পাশে থাকবেন।
কেন্দ্রীয় নেতারা আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের সরকার যেভাবে গার্মেন্ট শিল্পকে নিয়ে অহঙ্কার করে সামনে দিন আসছে আমাদের নিয়েও অহঙ্কার করবেন। কারণ এই ব্যবসায় সায়েম সোবহান আনভিরের মতো দেশ-বিদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। বক্তারা বলেন, প্রেসিডেন্ট আমাদের বাজুসকে নানা সুযোগ দিচ্ছেন। তাই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। চোরাই ও পুরাতন স্বর্ণ কিনে ব্যবসার সুনাম নষ্ট করবেন না। পুরাতন স্বর্ণ কিনলে খরিদ মেমোতে ক্রেতার সব তথ্য রাখবেন। তাহলে প্রশাসনের কেউ আপনাদের বিরক্ত করতে পারবেন না। বৈধভাবে ব্যবসা করে কেউ প্রশাসন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংগঠন তাকে সব সহযোগিতা করবে।
মতবিনিময়সভায় সুনামগঞ্জ জেলার ১১ উপজেলার স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। বক্তারা আন্ডার রেটে স্বর্ণ না বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন ক্রিসেনথিমাম অন্তু। অনুষ্ঠানে দুর্বীণ শাহ’র গান পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী অদিতি দাস তিথি, রাধারমণ দত্তের গান পরিবেশন করেন জলি দাস, শাহ আব্দুল করিমের গান পরিবেশন করেন প্রিয়া পাল, হাছনরাজার গান পরিবেশন করেন মাকসুদুর রহমান দীপু।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ক্ষুদে শিল্পীরা। পরে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোস্তফা মিয়া, গীতা থেকে পাঠ করেন দুলাল দেব।