দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) সদস্য এবং এক ছাতার নীচে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল এন্ড মেম্বারশিপ এর সহ-সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান।
শুক্রবার শেরপুর জেলা বাজুস আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, কার্য নির্বাহী সদস্য কাজী নাজনীন হোসেন, বাজুস নেতা চন্দন কুমার ঘোষ, শেরপুর বাজুসের সাধারণ সম্পাদক সুশীল মালাকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস শেরপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান মিয়া। এতে স্থানীয় জুয়েলার্স সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বাজুসের সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিক মজিদ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের নেতৃত্ব নেওয়ার পর দেশের স্বর্ণ শিল্পে গতি এসেছে। অবহেলিত জুয়েলার্স মালিকরা সম্মানিত হয়েছেন।
সভায় জানানো হয়-জুয়েলার্স মালিক যারা বাজুসের সদস্য পদ না নিবে, তারা আগামীতে আইনগত নানা জটিলতায় পড়বে। তাই ব্যবসায় জটিলতা কাটাতেই বাজুস সভাপতির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বাজুস সদস্যদের পরিচিতি কার্ড, সনদ, সহজ শর্তে ঋণসহ সব সুবিধা দেওয়া হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা অভিজাত ব্যবসায়ী ও সরকারকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব দিলেও নানা কারণে তারা উপেক্ষিত।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত সম্মান ফিরিয়ে দিতেই সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসকে পূর্ণতা দিতে চান। তার হাত ধরেই দেশে এখন ৪০ হাজার বাজুস সদস্য কাজ করছে। সংগঠনকে শক্তিশালি করতে বাজুস সভাপতি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কোনো বাজুস সদস্য বেআইনিভাবে হয়রানিতে পড়লে বাজুস সভাপতির নেতৃত্বে সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। সবাইকে সংগঠনের আইন মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়।
মুক্ত আলোচনায় শেরপুরের জুয়েলার্স মালিকরা স্থানীয় কিছু সমস্যার কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করেন।