যশোরের শার্শার সীমান্তের গোগা এলাকায় সারের ব্যাগে পাওয়া গেল ১০ পিস স্বর্ণের বার। এ সময় সাকিব হোসেন (১৯) নামে এক স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। আটক সাকিব শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের মৃত কালাম হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গোগা গ্রামের গাজীপাড়ার পাকা রাস্তার ওপর থেকে স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী সাকিবকে আটক করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমানের (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) নেতৃত্বে একটি টহল দল শার্শা উপজেলার পশ্চিম রুদ্রপুর গ্রামের আজগরের আম বাগানের মধ্যে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক ১.২৩৩ কেজি ওজনের মোট ১০টি স্বর্ণের বারসহ সাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। এসব স্বর্ণের বার একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ইউরিয়া সারের মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচানো গামছার ভেতরে মোড়ানো অবস্থায় অভিনব কায়দায় লুকায়িত ছিল। স্বর্ণের বারগুলো শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের সালামের মোড় নামক স্থান থেকে জনৈক ব্যক্তির নিকট হতে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তার নাম জানেন না বলে আটক সাকিব বিজিবিকে জানান।
খুলনা ২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক স্বর্ণ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামি স্বর্ণের বারগুলো রুদ্রপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার করতে চেয়েছিলেন। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৮৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা। আটক আসামিকে স্বর্ণ পাচার আইনে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণ পাচাররোধকল্পে সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে। স্বর্ণ চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে খুলনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সীমান্ত এলাকা হতে ১১টি অভিযানে ১৩ জন আসামিসহ ২২ কেজি ৮১১ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ১১টি অভিযানের মধ্যে আগস্ট মাসেই চারটি ও চলতি সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচটি অভিযানে স্বর্ণ আটক করা হয়।