স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। চিঠিতে দেশে স্বর্ণ চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় বাজুসের প্রস্তাব দুটি হলো ১. স্বর্ণ চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
২. ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং-এ কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপণে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করা।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারী শিল্পে স্বর্ণ চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণের অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।