সোনা চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রমে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ২৫ শতাংশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে বিতরণের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে বাজুস সভাপতি লেখেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় সারা দেশে সোনা চোরাচালান বহুলাংশে কমেছে। অনেক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে।
বাজুস সভাপতি আরো লেখেন, ‘চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থাসমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের অনুরোধ করছি। ’ চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের উৎসাহ দিতেই বাজুসের এই প্রস্তাবনা বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়ে বাজুস সভাপতি লেখেন, ‘অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনা বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য আপনার অধীনস্থ সকল সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করছি। ’
বাজুসের আশা, তাদের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। কমবে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়।