সোনা-হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশ থেকে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকা পাচার
Back to All News

সােনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। পুরো এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে বলে জানায় বাজুস।

সোমবার বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের সদস্য সচিব আলী হোসেন, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের সদস্য শাওন সাহা প্রমুখ। 

সংবাদ সম্মেলনে রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোানার অলঙ্কার, স্বর্ণের বার, ব্যবহৃত পুরোনাে জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলঙ্কার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোাটি টাকার বেশি।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, প্রতিবেশি দেশ ভারতর সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সীমান্ত অবস্থিত। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ৬ জেলা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াড়াঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশাের ও সাতক্ষীরা জেলা সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে। ভারতে পাচার হওয়া স্বর্ণের বড় একটি অংশ এসব জেলার সীমান্ত দিয়ে হয়ে থাকে। বাজুসের প্রাথমিক ধারণা, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণের অলঙ্কার, স্বর্ণের বার, ব্যবহৃত পুরোনাে জুয়েলারি ও হীরার অলঙ্কার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোাটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি।

এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২২০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও স্বর্ণের অলঙ্কার এবং ৩০ কোটি টাকার হিরা ও হিরার অলঙ্কার আসে। সে হিসাবে এক বছরে ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা অবৈধভাবে আসছে। পুরো এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং স্বর্ণ ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করেন। চলমান ডলার সংকটে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় বাজুস।

এসময় বাজুসের ক্ষেত্রে কয়েকটও সুপারিশ করা হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, হীরা চোরাচালানে জডিতদের ধরতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলাোর জোরালো অভিযান পরিচালনা করা, স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি মনিটারিং সেল গঠন, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করা, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি স্বর্ণের অলঙ্কারের ক্ষেত্র ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বাচ্চ ৫০ গ্রাম করা, একই ধরনের অলঙ্কার দুটির বেশি আনা যাবে না।


Related News

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

সায়েম সোবহান আনভীর বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

Read More
স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

স্বর্ণের জনপ্রিয়তা বাড়বে নতুন বছরে

Read More
Sayem Sobhan Anvir elected BAJUS president

Sayem Sobhan Anvir elected BAJUS president

Read More
BAJUS central committee President Anvir congratulates as Ctg unit leaders take oath

BAJUS central committee President Anvir congratulates as Ctg unit leaders take oath

Read More